কথায় আছে, ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান।’ কিন্তু মানুষ গাছ না লাগিয়ে বরং গাছ কাটছে।
গাছ হলো প্রাকৃতিক বায়ু ফিল্টার, যা কার্বন-ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য দূষণ শোষণ করে এবং বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ত্যাগ করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাতেও গাছের অবদান রয়েছে।গাছ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবকে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, গাছ শহুরে হিট আইল্যান্ড প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। 'শহুরে হিট আইল্যান্ড’ বলতে বোঝায়, শহরের ভবন এবং ফুটপাতের অতিরিক্ত তাপ শোষণের ফলে শহরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অনুভব হওয়া। তাই শহরে গাছ রোপণের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।
আমাদের উচিত খালি জায়গা পেলে গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া। কেননা, একমাত্র আমাদের এই পরম উপকারী বন্ধুটি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে থাকে।
গাছের সঙ্গে জীবের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রাণীর অস্তিত্ব বজায় রাখতে গাছ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই স্থান-পরিক্রমায় জীবকুলের উপকারার্থে স্রষ্টা উদ্ভিদকুলকে বৈচিত্র্যময় করে সাজিয়েছেন। তারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় পরস্পর নির্ভরশীল। অথচ প্রতিনিয়ত গাছ কর্তন করে শুধু মানুষরাই নিজেদের সব প্রাণিকুলের সর্বনাশ ডেকে আনছে। গাছ কাটা প্রতিরোধ করে মানুষের বসবাসে পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃক্ষের প্রতি মানুষের প্রেমণ্ডভালোবাসার অভাব। গাছ কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। পাশাপাশি ফুল, ফল, কাঠ, ছায়া ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু আমরা গাছ কেটে ধ্বংস করছি আমাদের বনভূমিকে। মানব পরিবেশ রক্ষায় ২৫ শতাংশ বনভূমির মধ্যে আমাদের আছে মাত্র ১৭ শতাংশ বনভূমি। আর এটিও এখন বিলুপ্তির পথে। ফলে পরিবেশে কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। গাছের অভাবে পরিবেশের এই কান্না কেউ শোনে না। তাই এখনই সময় গাছ লাগানোর। এখনই সময় পরিবেশকে রক্ষা করার। এজন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে। শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। একটি গাছ কাটলে দুটি গাছ লাগান।’
আপনার মতামত লিখুন :